অজুর ফরজ চারটি:
১. সমস্ত
মুখমণ্ডল ধৌত করা।
২. উভয় হাত
কনুইসহ ধৌত করা।
৩. মাথা মাসেহ
করা।
৪. উভয় পা
টাখনুসহ ধৌত করা।
অজুর সুন্নত ১৪টি:
১.অজুর নিয়ত
করা।
২অজুর শুরুতে
‘বিসমিল্লাহ’ পড়া।
৩.উভয় হাতের
কবজি পর্যন্ত তিনবার ধোয়া।
৪. মিসওয়াক করা। (মিসওয়াক না থাকলে হাতের আঙুলের মাথা দিয়ে দাঁত ঘষে
নেওয়া।)
৫. তিনবার কুলি করা।
৬.তিনবার নাকে
পানি দেওয়া।
৭.তিনবার নাক
পরিষ্কার করা।
৮.প্রত্যেক
অঙ্গ তিন তিনবার ধৌত।
৯.চেহারা ধৌত
করার সময় দাড়ি খিলাল করা, হাত-পা ধোয়ার সময় আঙুল খিলাল করা।
১০. একবার
পূর্ণ মাথা মাসাহ করা।
১১.মাথা
মাসাহের সঙ্গে কান মাসাহ করা।
১২.অজুর
ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
১৩.ডান দিক
প্রথমে ধোয়া।
১৪.অজুর পর কলেমায়ে শাহাদাত পড়া।
তারপর
এই দোয়া পড়া:
اللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ
وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
‘আল্লাহুম্মাজ
আলনি মিনাত্ তাওয়াবিনা ওয়াজআলনি মিনাল মুতাতাহহিরিন।’
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমাকে
পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
অযু ভঙ্গের কারণ ৭ টি:
১.পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।
২.রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া।
৩.মুখ ভরে বমি করা।
৪.থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।
৫.চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।
৬.পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে।
৭.নামাজে উচ্চস্বরে হাসা ।
গোসলের ফরজ তিনটি:
১. কুলি করা
২. নাকে পানি দেওয়া
৩. সারা শরীরে পানি পৌঁছানো
এ তিনটি কাজ পূর্ণভাবে সম্পন্ন না হলে গোসল সহিহ হবে না।
তায়াম্মুমের ফরজ তিনটি:
নিয়ত করা:
পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে মনে মনে নিয়ত করতে হবে।
মুখ মাসাহ করা: পবিত্র মাটি বা মাটি জাতীয় কিছু দিয়ে মুখ মাসাহ হবে।
উভয় হাত মাসাহ করা: মাটি দিয়ে দুই হাত কনুই পর্যন্ত মাসাহ করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ