-রোজার ফজিলত-
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, রোজাদারের ঘুম ইবাদতের তুল্য। তার চুপ থাকা তাসবিহ পড়া তুল্য। অন্যসময় অপেক্ষা রমজানে সামান্য ইবাদতে অধিক সওয়াব হয়।-বায়হাকী
বাংলাদেশ রমজান ক্যালকুলেটর
- রোজার গুরুত্ব -
প্রত্যেক সুস্থ ও স্বাভাবিক বালেগ মুসলমান নর-নারীর উপর রমজানের রোজা রাখা ফরজ। শরিয়তের গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত কেউ যদি রোজা না রাখে তবে সে ফাসেক বলে গণ্য হবে এবং কেউ যদি রোজা ফরজ হওয়াকে অস্বীকার করে তবে সে কাফির হয়ে যাবে।
সাহরীর ও ইফতার সময়সূচী:
ইংরেজি তারিখ | বার | হিজরী তারিখ |
---|---|---|
১-মার্চ-২০২৫ | শনি | ৩০-শাবান, ১৪৪৬ |
২-মার্চ-২০২৫ | রবি | ১-রমজান, ১৪৪৬ |
৩-মার্চ-২০২৫ | সোম | ২-রমজান, ১৪৪৬ |
৪-মার্চ-২০২৫ | মঙ্গল | ৩-রমজান, ১৪৪৬ |
৫-মার্চ-২০২৫ | বুধ | ৪-রমজান, ১৪৪৬ |
৬-মার্চ-২০২৫ | বৃহস্পতি | ৫-রমজান, ১৪৪৬ |
৭-মার্চ-২০২৫ | শুক্র | ৬-রমজান, ১৪৪৬ |
৮-মার্চ-২০২৫ | শনি | ৭-রমজান, ১৪৪৬ |
৯-মার্চ-২০২৫ | রবি | ৮-রমজান, ১৪৪৬ |
১০-মার্চ-২০২৫ | সোম | ৯-রমজান, ১৪৪৬ |
১১-মার্চ-২০২৫ | মঙ্গল | ১০-রমজান, ১৪৪৬ |
১২-মার্চ-২০২৫ | বুধ | ১১-রমজান, ১৪৪৬ |
১৩-মার্চ-২০২৫ | বৃহস্পতি | ১২-রমজান, ১৪৪৬ |
১৪-মার্চ-২০২৫ | শুক্র | ১৩-রমজান, ১৪৪৬ |
১৫-মার্চ-২০২৫ | শনি | ১৪-রমজান, ১৪৪৬ |
১৬-মার্চ-২০২৫ | রবি | ১৫-রমজান, ১৪৪৬ |
১৭-মার্চ-২০২৫ | সোম | ১৬-রমজান, ১৪৪৬ |
১৮-মার্চ-২০২৫ | মঙ্গল | ১৭-রমজান, ১৪৪৬ |
১৯-মার্চ-২০২৫ | বুধ | ১৮-রমজান, ১৪৪৬ |
২০-মার্চ-২০২৫ | বৃহস্পতি | ১৯-রমজান, ১৪৪৬ |
২১-মার্চ-২০২৫ | শুক্র | ২০-রমজান, ১৪৪৬ |
২২-মার্চ-২০২৫ | শনি | ২১-রমজান, ১৪৪৬ |
২৩-মার্চ-২০২৫ | রবি | ২২-রমজান, ১৪৪৬ |
২৪-মার্চ-২০২৫ | সোম | ২৩-রমজান, ১৪৪৬ |
২৫-মার্চ-২০২৫ | মঙ্গল | ২৪-রমজান, ১৪৪৬ |
২৬-মার্চ-২০২৫ | বুধ | ২৫-রমজান, ১৪৪৬ |
২৭-মার্চ-২০২৫ | বৃহস্পতি | ২৬-রমজান, ১৪৪৬ |
২৮-মার্চ-২০২৫ | শুক্র | ২৭-রমজান, ১৪৪৬ |
২৯-মার্চ-২০২৫ | শনি | ২৮-রমজান, ১৪৪৬ |
৩০-মার্চ-২০২৫ | রবি | ২৯-রমজান, ১৪৪৬ |
৩১-মার্চ-২০২৫ | সোম | ১-শাওয়াল, ১৪৪৬ |
- ইফতারের দোয়া -
আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়াবিকা আমানতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওআলা রিজক্বিকা আফতারতু।
অর্থাৎ হে প্রভু! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার প্রতি ঈমান এনেছি, তোমার উপর ভরসা করেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।
- সাহরির ফজিলত -
সাহরি খাওয়া সুন্নত (সওয়াবের কাজ)। রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, যারা সাহরি খায়, আল্লাহপাক তাঁর ফেরেশতাদের নিয়ে তাদের উপর রহমত নাজিল করেন।
- ফিতরার মাসায়িল -
যে প্রাপ্ত বয়ক্ষ স্বজ্ঞান মুসলমান ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় ঋণ ও মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত তোলা/ ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্নো তোলা রূপা কিংবা তার সমপরিমাণ মূল্যের টাকা-দ্রব্যাদির মালিক হয় তার ওপর নিজের ও নাবালেক সন্তানের সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার জন্য মাল আসবাব এক বছর স্থায়ী থাকা শর্ত নয়। (মারাকিল ফালাহঃ ৩৯৪)
-ফিতরার পরিমাণ-
ফিতরা গম হিসেবে দিলে জনপ্রতি ১.৬৬২ কেজি (প্রায় পৌনে ২ কেজি) গম বা তার মূল্য, আর যব, খেজুর, পনির বা কিশমিশ থেকে দিলে ৩.৩২৪ কেজি (প্রায় সাড়ে তিন কেজি) বা তার মূল্য প্রদান করতে হবে। (আবু দাউদ, নাসাঈ, বুখারী মুসলিম ও মিশকাত পৃ. ১১৬)
সামর্থ্যবান ব্যক্তিগণ নিজেদের তাওফিক অনুযায়ী উক্ত পণ্যগুলো থেকে যেকোনো একটি নির্ধারণ করে ফিতরা দিলে অধিক সাওয়াবের অধিকারী হবেন।
- তারাবিহ -
ফজিলত: যে ব্যক্তি রমজান মাসে ঈমান সহকারে সওয়াবের আশায় তারাবিহর নামাজ পড়বে, তার অতীতের সকল (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (সহিহ বুখারি: ১/২৬৯) মাসআলা: রমজান মাসে ইশার ফরজ ও সুন্নাত নামাজের পর বিশ রাকাত তারাবিহর নামাজ পড়া নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (শামী ২/৪৩-৪৪)
মাসআলাঃ পুরুষের জন্য তারাবিহর নামাজ জামাতে পড়া ও এতে পূর্ণ কুরআন মাজিদ একবার খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। (দুররে মুখতার ও শামী ২/৪৫-৪৬)
-রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ-
স্মরণ থাকা অবস্থায় পানাহার করা বা স্ত্রী সম্ভোগ করা অথবা ধুমপান করা। এতে কাজা ও কাফফারা (একাধারে দুই মাস রোজা রাখা) উভয়ই ওয়াজিব হয় * নাকে তেল, ঔষধ ইত্যাদি প্রবেশ করানো * মুখ দিয়ে ইনহেলার গ্রহণ করা * ইচ্ছাকৃতভাবে মুখভরে বমি করা * বমি আসার পর তা গিলে ফেলা * কুলি করার সময় পানি গলার ভিতরে ঢুকে পড়া * দাঁতে আটকে থাকা ছোলা বা তার চেয়ে বড় পরিমাণের খাদ্যকণা গিলে ফেলা * মুখে পান ইত্যাদি রেখে ঘুমিয়ে পড়া এবং সুবহে সাদিকের পর জাগ্রত হওয়া * ইচ্ছাকৃতভাবে আগরবাতি কিংবা অন্য সুগন্ধিদ্রব্যের ধোঁয়া গলধঃকরণ বা নাকের মধ্যে টেনে নেয়া * রাত মনে করে সুবহে সাদিকের পরে সাহরি খাওয়া * সূর্যাস্তের পূর্বে সূর্য অস্তমিত ভেবে ইফতার করা। এগুলোতে শুধু কাযা ওয়াজিব হয়। কিন্তু রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার পর দিনের অবশিষ্ট সময় রোজাদারের মতো পানাহার ইত্যাদি বর্জন করে থাকতে হবে।
বি. দ্র. চোখে ড্রপ বা ঔষধ দিলে রোজা ভঙ্গ হয় না। টেস্টের জন্য রক্ত দিলেও রোজা ভঙ্গ হয় না।
0 মন্তব্যসমূহ