আয়াতুল কুরসীর বিশেষ ফযীলত

 আয়াতুল কুরসীর বিশেষ ফযীলত

আয়াতুল কুরসীর বিশেষ ফযীলত

১. হাদীস শরীফে এ আয়াতের অনেক ফযীলত ও বরকত বর্ণিত হয়েছে। মুসনাদে আহমদ গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (স.) এটিকে সবচেয়ে উত্তম আয়াত বলে উল্লেখ করেছেন। অন্য এক হাদীসে আছে, রাসূল (স.) উবাই ইবনে কা‘বকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কুরআনের মধ্যে কোন আয়াতটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? উবাই ইবনে কা‘ব আরয করলেন, আয়াতুল কুরসী। রাসূল (স.) এ কথার সমর্থন করে বললেন, হে আবুল মানযার! তোমাকে এ উত্তম জ্ঞানের জন্য ধন্যবাদ। (মুসলিম শরীফ—১/৮১০, ২৭১ পৃ:)

২. নাসায়ী শরীফের এক বর্ণনাতে রয়েছে যে, হুযূর আকরাম (স.) এরশাদ করেছেন— যে লোক প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের পথে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন অন্তরায় থাকে না। অর্থাৎ মৃত্যুর সাথে সাথেই সে জান্নাতের নেয়ামত উপভোগ করতে পারবে। (মা‘আরেফুল কুরআন : ১৩৮ পৃ.)  

৩. যে ব্যক্তি শয়নকালে আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাজতকারী ফিরিশতা নির্ধারণ করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত তার নিকট শয়তান আসতে পারবে না। (বুখারী ২/৭৪৯)

৪. যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসী চার বার পাঠ করবে সে এক খতম কুরআন পড়ার সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমদ—১/১১)

৫. যে গৃহে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হয়, সে গৃহে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। (মা‘আরেফুল কুরআন : ১/৬১২)  

৬. যে ব্যক্তি প্রত্যহ ফরয নামাযের পর ১ বার আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তার মৃত্যুর যন্ত্রণা হালকা হবে। 

৭. নবী করীম (স.) এর ইন্তেকালের সময় আযরাঈল (আ.) বললেন, আপনার উম্মতের মধ্যে যে প্রত্যহ ফরয নামাযের পর ১ বার আয়াতুল কুরসী পড়বে আমি তার রূহ সহজে কবয করব। (বুখারী ও মুসলিম)

৮. এ আয়াত পড়ে ঘুমালে সারা রাত ফিরিশতাদের পাহাড়ায় থাকবে। (বুখারী ও মুসলিম)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ