বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম এর ফযীলত

 বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম এর ফযীলত

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ (বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম) এর ফযীলত

এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আয়াত স্বরূপ। (সূরা নাহলের ৩০ নং আয়াতের অংশ এবং দু’টি সূরার মাঝখানে একটি পূর্ণাঙ্গ আয়াত)। তাই এটি অন্যান্য আয়াতের ন্যায় এ আয়াতটির সম্মান করাও ওয়াজিব। অযু ছাড়া এটি স্পর্শ করা জায়েয নেই। অপবিত্র অবস্থায় যথা— হায়েয—নেফাসের সময় পবিত্র হওয়ার পূর্বে তেলাওয়াতের উদ্দেশ্যে পাঠ করাও না জায়েয; তবে কোন কাজ—কর্ম আরম্ভ করার পূর্বে যথা, দরজা বন্ধ করতে, বাতি নেভাতে, পাত্র আবৃত করতে, পানাহার করতে, অযু করতে, যানবাহনে আরোহন করতে بِسْمِ اللهِ  বলার নির্দেশ আছে। (মা‘আরেফুল কুরআন)। যে কাজ বিসমিল্লাহ ব্যতীত আরম্ভ করা হয় তাতে কোন বরকত থাকে না। (আবু দাঊদ)

কুরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে উপদেশ রয়েছে যে, বিসমিল্লাহ বলে আরম্ভ কর। 

বাস্তবে দেখা যায় যে, বিসমিল্লাহ এর বহু উপকার রয়েছে, যেমন— যে ব্যক্তি দৈনিক ৭৮৬ বার বিসমিল্লাহ পাঠ করবে তার কোন ধরণের ক্ষতি হবে না। (বহু পরীক্ষিত)।

খানার পূর্বে বিসমিল্লাহ না পড়লে সে খানা শয়তানের খাবার হয়। এ জন্য খাওয়ার শুরুতে দোআ ভুলে গেলে بِسْمِ اللهِ  اَوَّلَه وَاٰخِرَهْ বলতে হয়।  (তিরমিযী শরীফ)।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ