কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা এর ফযীলত

 সূরা মুলক এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত
১. নবী করীম (স.) ইরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তি প্রত্যহ রাতে সূরা মুলক পাঠ করবে সে কবরের আযাব এবং কিয়ামতের কঠিন মুসীবত হতে রেহাই পাবে। 

২. ৪১ বার পড়লে বিপদ থেকে উদ্ধার হবে এবং ঋণগ্রস্থ থাকলে পরিশোধের ব্যবস্থা হবে। 

৩. এ সূরা নিয়মিত পাঠ করলে কিয়ামতের দিন সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে। (কুরতুবী ও মা‘আরিফুল কুরআন—১৩৯০)

সূরা আলামনাশরহ এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত

যে ব্যক্তি এ সূরা প্রত্যহ ফরয নামাযের পর ৭ বার পাঠ করবে তার জন্য গায়েব থেকে রিযিক আসবে।

সূরা কদর এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত

নবী করীম (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সূরা কদর ৪ বার পাঠ করবে সে এক খতম কুরআন পাঠের সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ—১/২৮২)

সূরা যিলযাল এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত

যে ব্যক্তি সূরা যিলযাল ২ বার পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে এক খতম কুরআন পড়ার সওয়াব দিবেন। (তিরমিযী—২/১১৭)

সূরা তাকাছুর এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত

নবী করীম (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ১ বার সূরা তাকাছুর পাঠ করবে সে ১ হাজার আয়াত পড়ার সমান নেক পাবে। (মিশকাত, বাইহাকী—১৯০)

সূরা কাফিরূন এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত
হুযূর পাক (স.) বলেন, যে ব্যক্তি ৪ বার সূরা কাফিরূন পড়বে সে এক খতম কুরআনের সওয়াব পাবে। (তিরমিযী—২/১১৭)

সূরা নাছর এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত

যে ব্যক্তি সূরা নাছর চার বার পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে এক খতম কুরআন পড়ার সওয়াব দিবেন। (তিরমিযী—২/১১৭)

সূরা ইখলাস এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত

১. হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত : জনৈক ব্যক্তি হুযূর পাক (স.) এর কাছে এসে আরয করল, আমি এই সূরাটি খুব ভালবাসি। নবীজী বললেন, এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। (ইবনে কাছীর—২/১১৮)

২. সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ কুরআনে মোট তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে (১) তাওহীদ, (২) রিসালত, (৩) আখিরাত। তম্মধ্যে সূরা ইখলাসে কেবল তাওহীদ নিয়েই আলোচনা হয়েছে যা তিনটির একটি। (তিরমিযী—২/১১৭)

৩. যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস ৩ বার পাঠ করবে তার পূর্ণাঙ্গ কুরআন পড়ার সওয়াব লাভ হবে এবং যে ব্যক্তি ৬ বার পড়বে তার ২ খতম এবং যে ৯ বার পড়বে তার ৩ খতম কুরআন পাঠের সওয়াব হবে। আর ১০ বার পড়লে জান্নাতে তার জন্য একটি বালাখানা তৈরী হবে। (মিশকাত—১৯০)

৪. আর ইশার নামাযের পর দাড়িয়ে ১০১ বার পাঠ করলে পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং পাঠকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী ও তিরমিযী—২/১১৭)

৫. আর প্রত্যহ ২০০ বার এ সূরা পাঠ করলে ৫০ বছরের গুনা মাফ হয়। (তিরমিযী—২/১১৭)

৬. নবী করীম (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাত্রে শুয়ে ১০০ বার এ সূরা পাঠ করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাকে ডেকে বলবেন যে, হে আমার বান্দা! তুমি তোমার ডান দিকের রাস্তা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ কর। (তিরমিযী—২/১১৭)

৭. সবচেয়ে বড় ফায়দা হল, সূরা ইখলাস দ্বারা মানুষের অন্তরে একত্ববাদের এক্বীন পয়দা হয়। (লেখক)

সূরা ফালাক ও নাস এর ফযীলত

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা  এর ফযীলত

১. সকাল—বিকাল এ সূরাদ্বয় ৩ বার পাঠ করলে সকল ধরণের কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। (মাযহারী)

২. নবী করীম (স.) অসুস্থ হলে সূরা ফালাক ও নাস পড়ে স্বীয় হস্তদ্বয় দ্বারা নিজের শরীরে বুলিয়ে দিতেন। (ইবনে কাসীর)

৩. নবী করীম (স.) এক সফরে ওকরা ইবনে আমের (রা.)কে সূরাদ্বয় পাঠ করালেন, অত:পর মাগরিব নামাযে এ সূরাদ্বয় তিলাওয়াত করে বললেন : এ সূরাদ্বয় নিদ্রা যাওয়ার সময় এবং নিদ্রা থেকে জেগে পাঠ করবে। অন্য হাদীসে তিনি প্রত্যক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। (আবু দাউদ, নাসায়ী)

৪. এ সূরাদ্বয় ১১ বার পাঠ করলে জ্বিনের আছর বদনযর, যাদুটোনা, তাবীজের একশন দূর হয়। (বহু পরীক্ষিত)

৫. সার কথা এই যে, যাবতীয় বিপদাপদ হতে নিরাপদ থাকার জন্য নবী করীম (স.) ও সাহাবায়ে কিরামগণ এ সূরাদ্বয়ের আমল করতেন। (মা‘আরেফুল কুরআন—১৪৮৫)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ