গৌরীপুর উপজেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত গৌরীপুর উপজেলা। উপজেলা সদর গৌরীপুর পৌরসভা ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গৌরীপুর থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮২ সালের ১৫ ডিসেম্বর গৌরীপুরকে উপজেলা হিসেবে উন্নীত করা হয়।
গৌরীপুর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। ইউনিয়নসমূহ হলো: মইলাকান্দা, গৌরীপুর, অচিন্তপুর, মাওহা, সহনাটি, বোকাইনগর, রামগোপালপুর, ডৌহাখলা, ভাংনামারী, এবং সিধলা।
উপজেলার প্রধান নদীসমূহের মধ্যে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, সোয়াইন, সুরিয়া, মগড়া, বুরুঙ্গা উল্লেখযোগ্য।
গৌরীপুরের অর্থনীতি প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে ধান, পাট, গম, কুমড়া, আলু, পটল, সরিষা, আম, কাঁঠাল, কলা, জাম, লিচু, পেয়ারা, তরমুজ, সুপারি, পেঁপে ইত্যাদি প্রধান ফসল ও ফল। এছাড়া হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, মৎস্য চাষও গুরুত্বপূর্ণ।
গৌরীপুর উপজেলায় শিক্ষার হার ৫৭.৯০% (পুরুষ ৫২.৮০%, মহিলা ৪৮.৮০%)। এখানে মোট ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ২টি ডিগ্রি কলেজ, ১টি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ৩টি ফাযিল মাদ্রাসা, ২টি আলিম মাদ্রাসা, এবং ১২টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।
গৌরীপুর উপজেলায় উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে গৌরীপুর রাজবাড়ি, রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি, অনন্তসাগর দিঘী, বিজয় '৭১ ভাস্কর্য, শালীহর বধ্যভূমি, নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ, বীরঙ্গনা সখিনার মাজার, সিংরাউন্দ চিমু রাণীর দীঘি, শাহ নূরাই পীরের মাজার, গৌরীপুর জংশন, বঙ্গবন্ধু চত্বর, জল পুরোঙ্গা, ডালিয়া বিল, গৌরীপুর লজ, কেল্লা তাজপুর, শহীদ হারুন পার্ক, গৌরীপুর প্রেসক্লাব, এবং গজন্দর উল্লেখযোগ্য।
গৌরীপুর উপজেলায় যোগাযোগের জন্য গৌরীপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে, যা ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোণা জেলার সাথে সড়কপথে যুক্ত। এছাড়া সিলেট ও রংপুর সড়কপথেও গৌরীপুর যুক্ত রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ