গফরগাঁও বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা।

গফরগাঁও বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। নিচে গফরগাঁও সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:

১. ভৌগোলিক অবস্থান

গফরগাঁও উপজেলার অবস্থান ময়মনসিংহ জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে। এর উত্তর দিকে রয়েছে ত্রিশাল, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ, পশ্চিমে ভালুকা এবং পূর্বে নান্দাইল উপজেলা।

২. প্রশাসনিক বিভাজন

গফরগাঁও উপজেলাটি মোট ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। প্রতিটি ইউনিয়নের অধীনে বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে।

৩. ইতিহাস

গফরগাঁও ঐতিহাসিকভাবে মোগল আমল থেকে উল্লেখযোগ্য ছিল। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে এই অঞ্চলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিদ্রোহ ও আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও ভূমিকা রেখেছে।

৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

গফরগাঁওয়ে বেশ কিছু উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

• গফরগাঁও সরকারি কলেজ
• আব্দুল হাই স্কুল
• নওহাটা আদর্শ স্কুল
  এছাড়াও বিভিন্ন প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে।

৫. অর্থনীতি

গফরগাঁওয়ের অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, গম ও সবজি রয়েছে। এছাড়া মৎস্য ও পশুপালনও অর্থনীতিতে অবদান রাখে।

৬. সংস্কৃতি ও উৎসব

এ অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব পালন করে। বাংলা নববর্ষ, ঈদ, দুর্গাপূজা ও গ্রামীণ মেলা এখানে জনপ্রিয়। গফরগাঁওয়ের মাটির সংস্কৃতি গান ও পালাগান এখানকার ঐতিহ্যের অংশ।

৭. পরিবহন ও যোগাযোগ

গফরগাঁও থেকে ময়মনসিংহ, ঢাকা এবং অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ রয়েছে। গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান অংশ।

৮. দর্শনীয় স্থান

গফরগাঁওয়ে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:

• ঐতিহাসিক মসজিদ ও মন্দির
• গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্য
• স্থানীয় বাজার ও মেলা

৯. জনসংখ্যা

গফরগাঁও উপজেলায় বিভিন্ন ধর্ম ও পেশার মানুষ বাস করে। প্রধান ভাষা বাংলা হলেও বিভিন্ন আঞ্চলিক উপভাষার প্রচলন রয়েছে।

গফরগাঁও একটি প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, যা পর্যটন ও কৃষি উন্নয়নে আরও সম্ভাবনা রাখে।