ময়মনসিংহ বাংলাদেশর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা, যা ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এটি ময়মনসিংহ বিভাগ-এর অধীনে অবস্থিত এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। নিচে ময়মনসিংহ জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
১. ভৌগোলিক অবস্থান
- ময়মনসিংহ জেলার অবস্থান বাংলাদেশর মধ্যাঞ্চলে।
- উত্তরে শেরপুর ও নেত্রকোনা, পূর্বে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ, দক্ষিণে গাজীপুর এবং পশ্চিমে জামালপুর জেলা অবস্থিত।
২. ইতিহাস
ময়মনসিংহের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। এটি ১৭৮৭ সালে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ময়মনসিংহ ছিল প্রাচীন বাংলার সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল, যেখানে পাল, সেন ও মোঘল আমলের নানা নিদর্শন রয়েছে।
৩. প্রশাসনিক বিভাগ
ময়মনসিংহ জেলাকে ১৩টি উপজেলা ও ১০টি পৌরসভায় ভাগ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য উপজেলা সমূহ:
- ময়মনসিংহ সদর
- ফুলপুর
- ত্রিশাল
- মুক্তাগাছা link text
- ঈশ্বরগঞ্জ
- গৌরীপুর
- গফরগাঁও
- ভালুকা
৪. অর্থনীতি ও কৃষি
ময়মনসিংহের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম হলো কৃষি।
- প্রধান ফসল: ধান, পাট, গম, সরিষা ইত্যাদি।
- মৎস্য শিল্পেও ময়মনসিংহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ময়মনসিংহকে "মাছের রাজধানী" বলা হয়।
৫. শিক্ষা
ময়মনসিংহে শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত।
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BAU): এটি দেশের অন্যতম শীর্ষ কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- আনন্দমোহন কলেজ: ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ: এই অঞ্চলের একটি প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
৬. সংস্কৃতি ও পর্যটন
ময়মনসিংহে প্রচুর ঐতিহ্যবাহী মেলা, গান ও নাট্য পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
- ব্রহ্মপুত্র নদ
- মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
- বিদ্যাময়ী গার্লস স্কুল
- আনন্দমোহন পার্ক
৭. পরিবহন
ময়মনসিংহ সড়ক, নৌ এবং রেলপথের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে সড়ক ও রেলপথে সহজে যাওয়া যায়।
ময়মনসিংহের এই বিভিন্ন দিকই একে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে পরিচিত করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ