বিষয়: স্ত্রীর জন্য স্বামীর গুরুত্ব ও স্বামীর হক

বিষয়: স্ত্রীর জন্য স্বামীর গুরুত্ব ও স্বামীর হক

আলহামদুলিল্লাহ
নাহমদুহু ওয়ানুসাল্লি আলা রাসূলিহিল কারিম।

সম্মানিত মুসল্লিগণ,
আজকের খুতবার বিষয় — স্ত্রীর জন্য স্বামীর গুরুত্ব ও স্বামীর হক

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। পুরুষ ও নারী একে অপরের জন্য পরিপূরক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শুধু দুনিয়াবি চুক্তি নয়, এটি একটি ইবাদত — একটি আমানত।

📖 আল্লাহ বলেন:
"তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহিত, তারা যেন একে অপরের জন্য লিবাস (আবরণ) হয়"
(সূরা বাকারা: ১৮৭)

এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, স্বামী স্ত্রী একে অপরের আত্মিক, মানসিক ও সামাজিক আশ্রয়।

🔹 স্বামীর দায়িত্ব:
স্ত্রীকে সম্মান দেওয়া, নিরাপত্তা দেওয়া, ভালোবাসা ও রিজিকের ব্যবস্থা করা।

🔹 স্ত্রীর দায়িত্ব:
স্বামীর আদেশ মান্য করা (যদি তা শরিয়তবিরোধী না হয়), স্বামীর মান-মর্যাদা রক্ষা করা এবং তার অনুপস্থিতিতে তার সম্পদ ও ইজ্জত রক্ষা করা।

রাসূল (সা.) বলেন:
"যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসে রোজা রাখে, নিজের সতীত্ব রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে — সে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।"
📚 (মুসনাদে আহমদ)

সুতরাং হে মুসলিম নারীরা, জেনে রাখুন — স্বামীকে খুশি রাখা শুধু দাম্পত্য সুখ নয়, বরং এটি জান্নাতের চাবিকাঠি।


ইসলামিক কবিতা: “স্বামী—জান্নাতের সোপান”

যে হাত ধরে ঘরে আনো সুখ,
তাকেই রেখো হৃদয়ের মুখ।
স্বামী তোমার ছায়া দান,
সে তো তোমার জান্নাতের যান।

রোজার বদলা, নামাজের পালা,
সবই পূর্ণ যদি স্বামী খুশি থাকে চিরকাল।
আনুগত্যে লুকিয়ে আছে রহমতের ঝরনা,
সে যদি খুশি, আকাশ খোলে জান্নাতের দরজা।

তার সেবা নয় দাসত্বের নীচতা,
বরং এটি এক ইবাদতের পবিত্রতা।

সম্মান, দয়া, ভালোবাসার শপথে,
স্বামীর হৃদয় জুড়ে রাখো নরম পদক্ষেপে।

আল্লাহ যেন আমাদের করে তাওফিক,
ঘরকে বানাই জান্নাতের এক ঠিকানা অনুপম শ্রদ্ধায় ও শান্তিতে।

আমিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ