🕌 স্ত্রীর জন্য স্বামীর গুরুত্ব ও মর্যাদা
🔹 ১. স্বামী হলো স্ত্রীর জন্য পথপ্রদর্শক ও অভিভাবক
আল্লাহ বলেন:
"পুরুষরা নারীদের উপর দায়িত্বশীল, কারণ আল্লাহ তাদের একের উপর অপরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন..."
📖 (সূরা নিসা: ৩৪)
🔸 এর মানে, স্বামী পরিবার চালানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ও স্ত্রীর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিযুক্ত।
🔹 ২. স্বামী স্ত্রীর জন্য জান্নাতের দরজা হতে পারে
রাসূল (সা.) বলেন:
“যদি কোনো নারী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমযানের রোজা রাখে, লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং স্বামীর কথা মান্য করে, তবে সে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।”
📚 (মুসনাদে আহমাদ)
🔹 ৩. স্ত্রীর জন্য স্বামীর অনুমতি অপরিহার্য
রাসূল (সা.) বলেছেন:
“স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোনো নারী রোজা রাখতে পারবে না, এমনকি নফল রোজাও নয়।"
📚 (সহিহ বুখারী)
এটি স্বামীর গুরুত্ব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেন সংসারে ভালোবাসা, সমন্বয় ও সম্মান বজায় থাকে।
👑 স্বামীর হক (অধিকার) স্ত্রীর উপর
✅ ১. স্বামীর আদেশ মান্য করা (যদি তা শরীয়তসম্মত হয়)
“সবচেয়ে উত্তম স্ত্রী সেই, যে স্বামী যখন তাকিয়ে দেখে — সে তাকে আনন্দ দেয়,
যখন আদেশ দেয় — সে মান্য করে,
আর তার অনুপস্থিতে — তার সম্পদ ও মর্যাদা রক্ষা করে।”
📚 (ইবন মাজাহ)
✅ ২. স্বামীর সম্মান রক্ষা করা
স্বামী বাইরে কাজ করে, পরিশ্রম করে — স্ত্রী যেন তার মান-মর্যাদা ও গোপন কথা অন্যের কাছে না প্রকাশ করে।
✅ ৩. স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জন করা
“যে স্ত্রী স্বামীর অস্বীকৃতিতে রাত কাটায়, ফেরেশতা সারারাত তাকে অভিশাপ দেয়।”
📚 (সহিহ বুখারী)
✅ ৪. বাসায় শান্তি ও ভালোবাসা বজায় রাখা
স্ত্রী যেন ঘরকে স্বামী ও সন্তানের জন্য “সাকীনা” বা প্রশান্তির স্থান বানিয়ে তোলে।
🌷 উপসংহার:
"স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি আমানত।
স্বামী স্ত্রীর জন্য ঢাল, আর স্ত্রী স্বামীর জন্য শান্তি।
যেখানে দায়িত্ব, সম্মান ও ভালোবাসা মিলিত — সেখানেই জান্নাতের একটি টুকরো গড়ে ওঠে।"
0 মন্তব্যসমূহ