✅ ১. আত্মিক উপলব্ধি ও নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে:
"আমি এখন ৪৭ বছর বয়সী বা মধ্য বয়সী পুরুষ, তাই নফস এখন অনেক কিছু বুঝে, কিন্তু মাঝে মাঝে প্রবৃত্তি এখনো টানে।"
🔹 অর্থাৎ বয়সের সাথে সাথে সচেতনতা বেড়েছে, কিন্তু নফস (আত্মা/প্রবৃত্তি) পুরোপুরি নিস্তেজ হয়নি। সঠিক নিয়ন্ত্রণ এখনো জরুরি।
✅ ২. অভিজ্ঞতা ও সংযমের দিক থেকে:
"আমি এখন ৪৭ বছর বয়সী, তাই নফস এখন অনেকটা পরিণত, তবে শয়তানের ধোঁকায় পড়ার ঝুঁকি এখনো থাকে।"
🔹 বয়স বাড়লেও নফস পুরোপুরি পবিত্র হয় না, যতক্ষণ না আল্লাহর ভয় (তাকওয়া) প্রতিষ্ঠিত হয়।
✅ ৩. আত্মসমালোচনার ভঙ্গিতে:
"আমি এখন মধ্য বয়সী, অথচ নফস এখনো দুনিয়ার মোহ ছাড়তে চায় না — এটিই আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।"
🔹 এইভাবে বললে, এটি এক ধরনের আত্ম-উপলব্ধি ও আত্মসমালোচনা, যা একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য।
🕋 ইসলাম কী বলে নফস সম্পর্কে?
কুরআনে নফসের তিনটি পর্যায় উল্লেখ আছে:
নফসে আম্মারা (প্রবৃত্তিপ্রবণ আত্মা) – যা সবসময় খারাপের দিকে টানে (সূরা ইউসুফ: ৫৩)
নফসে লাওয়ামা (অনুতপ্ত আত্মা) – গোনাহ করে, কিন্তু পরে অনুতপ্ত হয় (সূরা কিয়ামাহ: ২)
নফসে মুতমাইন্না (শান্ত আত্মা) – যা আল্লাহর সন্তুষ্টিতে পরিপূর্ণ (সূরা ফজর: ২৭)
✅ আপনার বয়সে এসে একজন মুমিনের উচিত নফসকে লাওয়ামা বা মুতমাইন্না স্তরে নিয়ে যাওয়া।
0 মন্তব্যসমূহ