"অহংকার, গিবত (পরনিন্দা), চুগলখোরি — এগুলো এমন ব্যাধি, যা জেনার চেয়েও নিকৃষ্ট; আমি / ১. আনা, ২. খাইরুম, ৩. মিনহু — এই তিনটি শব্দের কারণে শয়তান ‘শয়তান’ হয়ে গেছে।”
🌪️ শয়তান কেন শয়তান হলো? — ব্যাখ্যা তিনটি শব্দে
১. আনা (أنا) – “আমি”
🔹 শয়তান বলেছিল:
"أنا خيرٌ منه" — আমি তার চেয়ে উত্তম।
(সূরা আরাফ: ১২)
➡️ এখানে “আনা” মানে অহংকার — নিজেকে বড় ভাবা।
এটিই শয়তানের প্রথম পতনের কারণ।
২. খাইরুম (خيرٌ) – “উত্তম”
🔹 শয়তান বলেছিল:
"আমি আগুন থেকে সৃষ্টি, আর সে (আদম) মাটি থেকে; অতএব আমি উত্তম।"
(সূরা ছাদ: ৭৬)
➡️ এখানে “খাইরুম” হলো নিজেকে যোগ্যতায় শ্রেষ্ঠ ভাবা, যা অহংকারকে আরও জোরদার করে।
৩. মিনহু (منه) – “তার চেয়ে”
🔹 শয়তান শুধু নিজেকে উত্তম ভাবেনি, বরং অপরকে তুচ্ছ ও হীন বলেছে।
➡️ “মিনহু” মানে নিজেকে তুলনামূলকভাবে বড় প্রমাণ করা — অন্যকে ছোট করে দেখা।
😈 এই তিনটি শব্দ শয়তানের “শয়তান” হয়ে যাওয়ার মূল:
“أنا، خيرٌ، منه” = আমি উত্তম, তার চেয়ে।
এই তিনটির মধ্যে অহংকার, হিংসা, গর্ব, পরনিন্দা, চুগলখোরি — সবকিছুর বীজ লুকিয়ে আছে।
❗ তাই আপনি যা বলেছেন, তা দারুণ অর্থবহ:
"আমি বা আমরা, যখন বলি — ‘আমি উত্তম তার চেয়ে’, তখনই শয়তানের পথে পা ফেলি।"
এই অহংকারই গিবত, চুগলখোরি, হিংসা ও অমানবিকতার জন্ম দেয়।
🕋 নবিজি (সা.) বলেছেন:
"যার অন্তরে এক রতি পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।"
📚 (সহিহ মুসলিম)
📝 আপনি চাইলে নিচের মত একটি সাহিত্যধর্মী ইসলামিক উক্তি বা লেখা তৈরি করতে পারেন:
“জিনা এক বড় গুনাহ — কিন্তু অহংকার, গিবত ও চুগলখোরি এমন ব্যাধি, যা আত্মাকে অদৃশ্যভাবে ধ্বংস করে।
শয়তান ‘আমি’, ‘আমি উত্তম’, ‘তার চেয়ে ভালো’ — এই তিন বাক্যের মাঝেই পথ হারিয়েছে।
আমরা যদি একই পথ অনুসরণ করি, তবে আমরাও ঈমান হারাতে পারি।
তাই ‘আনা’, ‘খাইরুম’, ‘মিনহু’ — এই তিন শব্দকে আত্মা থেকে মুছে ফেলাই পরিত্রাণের পথ।”
0 মন্তব্যসমূহ