বিজ্ঞান কী? বিজ্ঞান কাকে বলে? বিজ্ঞানের শাখা কয়টি ও কী কী?
- শারীরিক বিজ্ঞান (Physical Science):এটি বস্তু, শক্তি এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করে। এর মধ্যে রয়েছে:
- পদার্থবিদ্যা (Physics): শক্তি, বল এবং মহাবিশ্বের নিয়মাবলী নিয়ে অধ্যয়ন।
- রসায়ন (Chemistry): পদার্থের গঠন, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের পারস্পরিক বিক্রিয়া।
- পদার্থবিজ্ঞান (Astronomy): মহাকাশ, গ্রহ, নক্ষত্র এবং মহাবিশ্বের অধ্যয়ন।
- জীববিজ্ঞান (Life Science):এটি জীবিত প্রজাতি, তাদের জীবনপ্রক্রিয়া এবং পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করে। এর মধ্যে রয়েছে:
- জীববিদ্যা (Biology): জীবিত প্রজাতির গঠন, কার্যাবলী এবং বিবর্তন।
- প্রাণীবিদ্যা (Zoology): প্রাণীজগৎ এবং তাদের আচরণ।
- উদ্ভিদবিদ্যা (Botany): উদ্ভিদজগৎ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য।
- পরিবেশবিদ্যা (Ecology): পরিবেশ এবং জীবিত প্রজাতির মধ্যে সম্পর্ক।
- পৃথিবী বিজ্ঞান (Earth Science):এটি পৃথিবী, এর গঠন এবং পৃথিবী সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলির অধ্যয়ন করে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ভূতত্ত্ব (Geology): পৃথিবীর গঠন, শিলা, আগ্নেয়গিরি ইত্যাদি।
- মৌসমবিজ্ঞান (Meteorology): আবহাওয়া এবং বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতি।
- মহাসাগরবিজ্ঞান (Oceanography): মহাসাগরের অধ্যয়ন এবং এর প্রক্রিয়া।
- সামাজিক বিজ্ঞান (Social Science):এটি মানুষের সমাজ, আচরণ এবং সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করে। এর মধ্যে রয়েছে:
- মনোবিজ্ঞাণ (Psychology): মানুষের মানসিক অবস্থা এবং আচরণ।
- সমাজবিজ্ঞাণ (Sociology): মানুষের সমাজ, প্রতিষ্ঠান এবং সম্পর্ক।
- মানববিদ্যা (Anthropology): মানুষের জাতি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস।
এই শাখাগুলি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং একসাথে পৃথিবী, জীবন্ত জগত এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান প্রদান করে।
আমাদেরকে বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে হবে এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে গেলে প্রথমেই বিজ্ঞান কি এই বিষয়টি সামনে দাঁড়ায়।
আর সামনে দাঁড়া এই বাধাটি আপনার অতিক্রম করতে গেলে অবশ্যই আমাদেরকে বিজ্ঞান কি এর উত্তর জানতে হবে যা এখানে পাবেন।
এটি তো ছিল বিজ্ঞান কি এর একটি তথ্য তবে বিজ্ঞান কাকে বলে এই বিষয়ের উপর সংজ্ঞা তৈরি করা হয়েছে। আর আমাদেরকে এখন উচিত হবে বিজ্ঞানের সংজ্ঞা সম্পর্কে কিছু ধারণা লাভ করার এবং ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানার বিজ্ঞানের বিভিন্ন ব্যবস্থার।
পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানীর নাম কি?
যেহেতু আমরা বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলতেছি এবং বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে অনেক বেশি উন্নত করে তুলেছে। তাই আমাদেরকে পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী কে ছিলেন এ বিষয়ে ধারণা রাখা উচিত কেননা, ইনার দ্বারায় প্রথম বিজ্ঞানের সূচনা হয়েছে।।
পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী ছিলেন পাশ্চাত্য গ্রিক পন্ডিত থেলিস। বিজ্ঞান কি এবং এ বিষয়ে ধারণা কিরূপ বিষয়ে প্রথম ধারণা তিনি দিয়েছেন।
আর বাংলাদেশের দিকে যদি চিন্তাভাবনা করা যায় তাহলে আরো একটি বিষয় আমাদের জানা উচিত।
সেটি হলো বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞানী কে ছিলেন বা তিনার নাম কি?
বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞানী ছিলেন স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, এবং বেতার কেন্দ্র নিয়ে ইনি গবেষণা করেছিলেন।
বিজ্ঞানের নানা বিষয় আমাদেরকে অনেক বেশি উন্নত করে তুলেছে এবং জীবনযাত্রার মান প্রতিনিয়তই পরিবর্তন করে তুলতেছে। এখন অনেকেরই প্রশ্ন বিজ্ঞানের আবিষ্কার কে আমাদের আসলেই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই প্রশ্নটির উত্তর হলো “হ্যাঁ” অবশ্যই বিজ্ঞানের আবিষ্কার আমাদের জন্য ঝুঁকের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমন কেউ হয়ে দাঁড়িয়েছেও।
বিজ্ঞানের এমন অনেক আবিষ্কার রয়েছে যেগুলো মানুষের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে এবং মহামারীর মত সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এমন অনেক গবেষণা করতে গিয়ে মানুষ জানতে কিংবা অজান্তে ক্ষতিকারক ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া কিংবা অনুজীব আবিষ্কার করে ফেলেছে। আর অবশ্যই এগুলো মানুষের জন্য হুমকির কারণ এবং এগুলোর দ্বারা মহামারী পর্যন্ত দেখা দিয়েছে।
যাই হোক বিজ্ঞানের আবিষ্কার যেমন আমাদের জীবনের মান উন্নত করেছে ঠিক পক্ষান্তরে কিছু কিছু বিজ্ঞানের অস্বাভাবিক কার্যকলাপে বিপথগামী হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞানের আবিষ্কার আমাদেরকে যে যে বিষয় গবেষণা করতে অনুপ্রেরণিত করেছে?
বর্তমানে বিজ্ঞানের অনুসন্ধান এত বেশি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যে যেকোনো ধরনের ভৌতিক অবস্থা ও রাসায়নিক ব্যবস্থা নিয়ে মানুষ অবগত। আর মানুষের এই অবগতির পেছনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু বিজ্ঞান তাই আমাদেরকে বিজ্ঞানের অনুপ্রেরণা দেখতে হবে।
বিজ্ঞানের আবিষ্কার আমাদেরকে যে যে বিষয় গবেষণা করতে অনুপ্রেরিত করেছে, নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো:
- মহাকাশ গবেষণা এবং মহাকাশের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও আবদ্ধ করতে অনুপ্রেরিত করেছে।
- সমুদ্রে গবেষণার কাজে চালানোর জন্য এবং গভীর সমুদ্রের ইতিহাস জানার জন্য অনুপ্রেরণিত করেছে।
- জীবের সৃষ্টি এবং ধ্বংস আবার পৃথিবীর সৃষ্টি এবং ধ্বংস সকল বিষয়ে অনুপ্রেরিত করেছে।
- সভ্যতার নির্মাণ ও সভ্যতার ধ্বংসের কারণ নির্বাচন করতে অনুপ্রেরিত করেছে।
- মানুষের চক্ষু ঠিক কতটুকু দেখতে সক্ষম এবং কতটুকু দেখতে সক্ষম না সে সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেছে।
- মানুষের অভ্যন্তরীণ যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা প্রদান করেছে ও জ্ঞান প্রদান করেছে।
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানোন্নয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছে।
- ভূগর্ভস্থ ও আকাশের যাবতীয় তথ্য নিয়ে গবেষণা করতে অনুপ্রেরণিত করেছে।
ধন্যবাদ, বিজ্ঞান কি এই বিষয়ে তৈরি করা আজকের এই পোস্টের মাঝে আপনার রিয়েক্ট শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য করতে পারার জন্য। তাহলে বিজ্ঞান হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে অনুসন্ধান, গবেষণা এবং পরীক্ষা ও বিচারের মাধ্যমে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা হয়।

0 মন্তব্যসমূহ